উত্তরদিনাজপুর

মহিলাদের কুটুক্তি করায় এক স্কুল শিক্ষককে মারধর স্থানীয়দের

এক স্কুল শিক্ষককে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের ১৭ নাম্বার ওয়ার্ডের বন্দর এলাকায়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম প্রসেনজিৎ সাহা, বাড়ি ওই এলাকাতেই। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শ্বশুর বাড়ি লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহার সাথে একই পাড়ার বাসিন্দা নবনিতা সাহা সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের চার বছর পর থেকে নবনিতার উপর স্বামী প্রসেনজিৎ শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারের ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কোট পর্যন্তও যায় তাদের এই ঘটনা। বিবাদ বিচ্ছেদ পর্যায়ে চলে আসে তাদের জীবন। নবনিতা তার বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। আজ দুপুরে প্রসেনজিৎ তার স্ত্রী নবনিতা সাথে দেখা করতে গিয়ে মারধোর করে চলে যায় বলে অভিযোগ। এদিন সন্ধ্যায় নবনিতার বোন ও পাড়ার কিছু মহিলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। সেই সময় ওই শিক্ষক প্রসেনজিৎ নবনিতার বোনকে দেখে গালাগালি ও কুটুক্তি করতে থাকে। তখন ওই মহিলারা তাকে বেধরক মারধোর করে। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পরে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত প্রসেঞ্জিত সাহা জানায়, এদিন তিনি বিকেলে বউয়ের সাথে কথা বলতে যান। সেই সময় ভালো ভাবেই কথা বলেন। যদি তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন তবে সেই সময়ই তাকে সকলে মিলে মারধর করত। কিন্তু তা হয়নি। সন্ধ্যে নাগাদ যখন ফিরছিল সেই সময় তাকে ধরে মারধর করেন শশুরবাড়ির লোকজন সহ এলাকাবাসীরা।

এই ঘটনায় মুখ খুললেন প্রসেঞ্জিত সাহার স্ত্রী নবনিতা সাহা জানায়, আট বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু চার বছর পর তার উপর প্রচন্ড অত্যাচার শুরু কিরে প্রসেঞ্জিত বলে অভিযোগ। পুলিশে মামলা হয়েছে। কিন্তু ওই বারবার বাড়িতে আসে আমাকে মারার চেষ্টা করে। এদিও ও বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে। এলাকার মহিলাদের কুটুক্তি করে। যার কারণে এলাকার মানুষজন মারধর করেছে। 

এদিকে স্থানীয় এক কাউন্সিলার চৈতালী ঘোষ সাহা জানান, প্রসেঞ্জিত একজন মদ্যপ। খুব খারাপ ব্যবহার। আদালত থেকে অকে বারবার ভালো ব্যবহার করার জন্য বলা হয়। কিন্তু সে প্রতিবার বাড়িতে ঢুকে সকলের সাথে মারধর করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যার কারণে এদিন এলাকার মহিলারা সকলে মিলে তাকে মারধর করে বলে তিনি দাবী করেন।